সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, করোনা আক্রান্তরা আইসোলেশনে থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানায় এবং চিকিৎসার নিয়মকানুন অনুসরণ করায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এ ক্ষেত্রে তিনি কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতার প্রশংসা করে বলেন, করোনা প্রতিরোধে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শেরপুরে পরিস্থিতি এখনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, নতুন করে ঝিনাইগাতী উপজেলায় এক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের ‘কোভিড-১৯’ পজেটিভ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২৪৭ জন। এর মধ্যে ১৯৭ জন সুস্থ হয়েছেন এবং তিনজন মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে বুধবার শেরপুর জেলার ৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ওই শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়।
এ পর্যন্ত জেলায় সংগৃহীত ৩ হাজার ৬৭২টি নমুনার মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৫৫০টি। এখনও পরীক্ষার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ১২২টি নমুনা।
উপজেলা ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় শেরপুর সদরের অবস্থান শীর্ষে। এ উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০১। এরপরে নালিতাবাড়ীতে ৫৩, নকলায় ৪৭, ঝিনাইগাতীতে ২৫ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ২১ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে নয় চিকিৎসক, তিন নার্সসহ ৩২ স্বাস্থ্যকর্মী, ২৫ পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিক আছেন।